গাজীপুরের শ্রীপুরে পান, রসগোল্লা ও স্বর্ণালংকার কম দেওয়া নিয়ে তর্কবিতর্কের জেরে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ বরযাত্রী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর নববধূকে রেখেই বাড়ি ফিরেছে বরপক্ষ।
আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের তোতা মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বরপক্ষের লোকজন অভিযোগ করেছেন, কনেপক্ষের লোকজন এলোপাতাড়ি পিটিয়ে বরযাত্রীদের সাড়ে ৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে। হামলায় বরপক্ষের আল আমিন (৩২), জোছনা (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৩৪), শিউলী (৩৫), শাহনাজ (২২), মোহাম্মদ ফকির (৪৫), সুরভি (২৯), আরিফ (১৯) শামীমা (৫০) ও রাকিব (২০) আহত হয়েছেন।
বরের বাবা মো. সাহিদ ফকির বলেন, ‘গত বুধবার খিলপাড়া গ্রামের তোতা মিয়ার মেয়ে তাহমিনার সঙ্গে আমার ছেলে রাকিবের বিয়ে সম্পন্ন হয়। আজ কনেকে তুলে নেওয়ার অনুষ্ঠান ছিল মেয়ের বাবার বাড়িতে। জুমার নামাজের পর ১০০ জন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়ি যাই। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে নববধূ তুলে নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। বেলা ৩টার দিকে কনের ভাই রনিসহ অভিযুক্তরা মিষ্টি কম আনায় এবং কানের দুল না দেওয়ায় বরযাত্রীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা বরযাত্রীদের বেধড়ক পিটিয়ে ১০ জনকে আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা নারীদের প্রায় ৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং টাকা ছিনিয়ে নেয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনের বাবা তোতা মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩ লাখ টাকার দেনমোহরে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। স্বর্ণালংকারের জন্য ৫০ হাজার টাকা ওয়াসিল দেওয়া হয়েছে। বরপক্ষ ৫০ হাজার টাকা ওয়াসিলের বিপরীতে ৫ হাজার টাকার অলংকার নিয়ে এসেছে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বরপক্ষের লোকেরা আমার লোকজনকে পিটিয়েছে। আমার মেয়েকে না নিয়ে ওরা চলে গেছে।’
শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হাসিবুল হাসান তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েকজন এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কেউ গুরুতর আহত নন। তিনজনের শরীরে সামান্য জখম রয়েছে।’
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরপক্ষের ওপর হামলার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিয়েবাড়িতে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’