নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারী আসন নির্ধারণ করে সেখানে সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত ৫০ জন নারী সংসদ সদস্যের হলফনামার তথ্য প্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আয়োজিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা বহুদিন ধরেই আমাদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বিষয়টি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কিন্তু কতটুকু ইতিবাচক, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। কিন্তু সংসদে মাত্র ৫০ জন নারীর জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। তা ছাড়া এই সংরক্ষণ ব্যবস্থার সমস্যা হলো এতে কোনো নির্বাচন হয় না এবং প্রার্থীর যোগ্যতাকে বিবেচনায় নেওয়া হয় না। বরং দলীয় প্রধানই অনুগ্রহ করে কিছু নারীকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেন। সংরক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচিত নারীদের পরবর্তীকালে সরাসরি আসনে নির্বাচিত হয়ে আসার যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা তা দেখতে পাচ্ছি না।’
সুজন সম্পাদক বলেন, পদ্ধতিটি এমন হতে পারে, এক সংসদে ১০০ আসনে নির্বাচন করা হলো, যেখানে শুধু নারীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বাকি ২০০ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এভাবে পরের বার অন্য ১০০।
অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
লিখিত বক্তব্যে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার জানান, বর্তমান সংসদে সংরক্ষিত আসনের ৫০ জন সদস্যের মধ্যে ১৩ জন ব্যবসায়ী, ৭ জন চাকরিজীবী, ৫ জন শিক্ষক, ৫ জন গৃহিণী, ২ জন আইনজীবী ও ২ জন কৃষিজীবী। একজনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে, আগে মামলা ছিল আটজনের বিরুদ্ধে।