সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে এবার প্রতীকী ফাঁসি কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
প্রতীকী ফাঁসি কর্মসূচিতে ছয় আন্দোলনকারী অংশ নেন। তাঁদের দাবি, বাতিল হওয়া নিয়োগপ্রক্রিয়া আবার চালু করতে হবে।
আন্দোলনকারীদের একজন সাগর বলেন, ‘যদি আমাদের দাবি মানা না হয়, তাহলে পরে আমরা প্রতীকী নয়, বরং বাস্তবেই আত্মহুতি দেব।’
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রতীকী ফাঁসি কর্মসূচিতে ছয় আন্দোলনকারী অংশ নেন। যদি তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তবে তাঁরা প্রতীকী নয়, ফাঁসির মাধ্যমে আত্মাহুতি দেবেন। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেন। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে র্যালি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান তাঁরা।
২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর ৩১ অক্টোবর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়, যেখানে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন। তবে নিয়োগবঞ্চিত কয়েক প্রার্থী আদালতে রিট করলে নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত হয়।
চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এই ফলাফল ও নির্বাচিতদের নিয়োগপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা এখনো নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।