পাঠ্যপুস্তক থেকে শরীফার গল্প বাদ দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ৩৯ পৃষ্ঠায় ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ নামক অধ্যায়ে থাকা শরীফার গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ও গল্পটি বাদ দেওয়ার জন্য এনসিটিবিকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মন্ত্রণালয়ের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। অবিলম্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই নতজানু সিদ্ধান্ত বাতিল ও সর্বস্তরে যুগোপযোগী এই শিক্ষাক্রম পুরোদ্যমে চালুর দাবি জানাচ্ছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্টজনদের মধ্যে রয়েছেন—শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক অনুপম সেন, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুন নবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. কাজী কামরুজ্জামান, ড. ফওজিয়া মোসলেম, শহীদজায়া সালমা হক, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, সাংবাদিক আবেদ খান, শিল্পী আবুল বারক আলভী, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, কথাশিল্পী ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক, শহীদসন্তান সাংবাদিক জাহিদ রেজা নূর প্রমুখ।