মোস্তাকিম ফারুকী, ঢাকা
তাঁতীবাজার মোড় থেকে চিত্রামহল সিনেমা হলের সামনে দিয়ে ধোলাইখাল সড়কের মুখ পর্যন্ত সড়কটি ইংলিশ রোড নামে পরিচিত। সড়কটির দৈর্ঘ্য কেবল ৩০০ মিটার। ছোট হলেও সড়কটির গুরুত্ব অনেক। কারণ এর পূর্বে ধোলাইখাল সড়ক, পশ্চিমে বাবুবাজার ব্রিজ, উত্তরে নবাবপুর রোড আর দক্ষিণে সদরঘাটের রাস্তা।
সদরঘাটমুখী রাস্তায় আছে আদালতপাড়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। জরুরি প্রয়োজনে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে এই রাস্তায় এসে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
যানজটের অন্যতম একটা কারণ বংশাল থানায় জব্দ করা গাড়িগুলো প্রধান সড়ক দখল করে বছরের পর বছর পার্কিং করে রাখা। দিনের পর দিন অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে কোনো গাড়ির চাকা মাটিতে মিশে গিয়েছে, কোনো গাড়ির নম্বর প্লেটের ওপরে ধুলোর আস্তরণ শুকিয়ে শক্ত হয়ে গিয়েছে। থানার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারণেই রাস্তায় গাড়ি রাখতে বাধ্য হতে হয়েছে।
বংশাল থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ‘আমাদেরও কিছু বাধ্যবাধকতা আছে, আছে সীমাবদ্ধতা। থানাটির নিজের কোনো পার্কিং ব্যবস্থা নেই। থানার কার্যক্রম চলছে ফজলুল করিম কমিউনিটি সেন্টারের দোতলায়। মামলার আলামত রাখার মতো জায়গা পাওয়া যায় না। আবার এগুলো ডাম্পিংও করতে পারছি না আইনি জটিলতার জন্য।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু সাঈদ বলেন, ‘সাময়িক সময়ের জন্য কিছু গাড়ি দাঁড়ায়, মালামাল নামিয়ে আবার চলে যায়। কিন্তু থানার সামনে নিয়মিত এতগুলো গাড়ি আটকে রেখে জনগণের খুব ভোগান্তি তৈরি করছে। মূলত রাস্তার সামনে দিয়ে তাদের গাড়ি রাখার কোন অনুমোদন নাই। থানার লোকজনের যাতায়াত ও গাড়ি রাখার অনুমোদন সিটি করপোরেশন দিয়েছে ফজলুল করিম কমিউনিটি সেন্টারের পেছন দিয়ে একটা রাস্তা আছে সেদিক দিয়ে। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একাধিকবার ভোগান্তির কথা জানালেও থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আমলে নিচ্ছে না।’
ডিউটি অফিসার ইমরান বলেন, ‘এগুলো আদালতের মামলা সংক্রান্ত ব্যাপার। নিলাম যখন হবে তখনই গাড়ি সরানো হবে। তাছাড়া নিয়মিতই মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে, আবার নতুন গাড়ি আটকা পড়ছে।’