টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চিতলিয়া নদীতে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সুকানিকে কুপিয়ে ও কয়েকজনকে মারধর করে ছয়টি মোবাইল ফোন ও ৮৫ হাজার টাকা লুটে নিয়েছে ডাকাত দল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জখম হওয়া ব্যক্তি হলেন বরগুনা জেলার বাসিন্দা হামেদ খাঁর ছেলে আলাউদ্দিন (৩০)। গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আলাউদ্দিন। তিনি ডাকাতির কবলে পড়া মক্কা মদিনা-৩ বাল্কহেডের সুকানি হিসেবে কাজ করেন।
চর আব্দুল্লাহপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাসনাত জামান জানান, ‘ঘটনার অনেকক্ষণ পরে গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে খবর পাই। এর পরেই আমরা নদীতে অভিযান চালিয়েছি। ডাকাতদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাল্কহেডে থাকা সাইদুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে মাওয়ায় যাচ্ছিলাম। চিতলিয়া নদীতে যাওয়ার পরে একটি ট্রলার দিয়ে ৮-১০ জনের একদল ডাকাত বাল্কহেডে উঠে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে সুকানিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।’
মক্কা মদিনা-৩ বাল্কহেডের মালিক মুকবুল হোসেন বলেন, ‘আমি প্রায় ১৪ বছর ধরে এই ব্যবসা করে আসছি। এই প্রথম আমার বাল্কহেডে দুর্ঘটনা হলো। মুন্সিগঞ্জ চর কিশোরগঞ্জ ঘাট থেকে মাওয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাল্কহেড ছেড়ে চিতলিয়া নদীতে গেলে একটি ছাউনিওয়ালা স্টিল বডির ট্রলারে করে ৮-১০ জনের ডাকাত দল হামলা চালায়। এতে বাল্কহেডে থাকা পাঁচজনই আহত হয়েছেন।’
মুকবুল হোসেন আরও বলেন, ‘সুকানি আলাউদ্দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। ডাকাত দল পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ও একটি বাটন মোবাইল ফোন এবং ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্টাফরা গুরুতর আহত থাকায় এখনো লিখিত অভিযোগ করার সুযোগ পাইনি। তবে ফাঁড়িতে জানানো হয়েছে।’