বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা খর্ব করে ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে জারি করা পরিপত্রের চারটি ধারা (৪, ৫, ৬ ও ৯) কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থ ও আইনসচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে গত ১৮ জুলাই নিজেদের ক্ষমতা খর্ব করে একটি পরিপত্র জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের পরিপত্র (পরিপত্র নং-১৫) বাতিল করে ঋণখেলাপিদের ঋণ পুনঃতফসিল করার ক্ষেত্রে এই ছাড় দেওয়া হয়। ঋণ পুনঃতফসিল করার ক্ষেত্রে মনিটরিংয়ের ক্ষমতা খর্ব করে এই পরিপত্র জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পরে ২২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে জারি করা পরিপত্রের ধারা ৪ (২) (৩), ৫, ৬ ও ৯–এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) উচ্চ আদালতে রিট করে।