শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে শরীরে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তারসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার এসব জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার চরনিলক্ষী গ্রামের মো. কামাল হোসেনের ছেলে আপন (২৮) এবং যশোর জেলার সদর থানার ছাদপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে লিখন (২৬)।
নিহত যুবক আলম (৩৫) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আনসার টেপিরবাড়ি গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে।
শ্রীপুর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযুক্ত আসামিরা উড়ালসেতুর পশ্চিম পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় নিহত আলমও মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে অভিযুক্তদের অতিক্রম করার সময় তাঁদের গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে আসামি আপন ক্ষিপ্ত হয়ে নিহত আলমকে গালি দিয়ে তাঁর শার্টের কলার চেপে ধরেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আসামি লিখনও আলমকে ঝাপটে ধরেন এবং এ সময় অভিযুক্ত আপন, আলমের বুকে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত আলম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে, অভিযুক্ত আসামিরা হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উড়ালসেতুর নিচে ময়লার স্তূপে ফেলে পালিয়ে যান। এরপর প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসেতুর নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয় নিহত যুবক আলমকে। এরপর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।