গাজীপুরের কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর গোপনীয়তা ভঙ্গ হওয়ায় অভিযোগ তুলেছেন শহিদুল ইসলাম নামে এক ভোটার। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমের) ব্যালট ইউনিট পরিবর্তন করা হয়েছে এই কেন্দ্রে।
সকাল ৯টার দিকে নিজের ভোট দিয়ে এসে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ভোট দিয়ে আসার পরও দেখা যাচ্ছে আমি কোন মার্কায় ভোট দিছি। দুই মিনিট পরও এইডা দেখা যাচ্ছে।’
৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইয়া স্কুলের পুরুষ কেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে ভোট দিয়ে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ভোট দিয়া তর্ক কইরা যাইয়া আবার দেখি আমি কিসের মধ্যে ভোট দিছি। তাইলে তো গোপনীয়তা রইল না। লাভ কী? আমি যখন ঢুকলাম, আমার আগে যে ভোট দিয়া গেছে তার মার্কা দেখলাম। আইসা বললাম এই সমস্যা। তারা কইল, না এ রকম হইতেই পারে না। পরে আবার ভেতরে ঢুইকা আবার দেখলাম আমার মার্কাটা ভাইসা আছে।’
কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মহসিন আলী বলেন, ‘ভোট দেওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে প্রতীকটা মুছে যায়। ভোট দ্রুত কাস্ট করার জন্য আমরা তাড়াতাড়ি পাঠাইছি। প্রয়োজনে আমরা ব্যালট ইউনিট চেঞ্জ করে দেব।’
কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শামসুজ্জামান বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা হয়েছে। আমরা এটা চেঞ্জ করে দিয়েছি। সহকারী জানানোর পরই ব্যালট ইউনিট চেঞ্জ করা হয়েছে। একজন ভোট দিয়ে যাওয়ার পরে দেখা যাচ্ছিল উনি কোন প্রতীকে ভোট দিয়েছেন।’
ইভিএমের টেকনিশিয়ান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একজন বুঝতে না পেরে একাধিক বাটনে টিপ দিয়েছেন, যার ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা পরিবর্তন করে দিয়েছি।’