ঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়ার একটি বাসা থেকে মেহেদী ইসলাম মুবিন (২৫) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে খিলগাঁও মেরাদিয়ার বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে খিলগাঁও থানা-পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, মেরাদিয়া নয়াপাড়া ক্যাসেট ফ্যাক্টরি গলির পাঁচতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সে ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলছিল।
এসআই আরও জানান, মেহেদীর মা বেশ কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। এরপর থেকেই তিনি দুশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এসব কারণে বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে যেকোনো সময় রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে নাইলনের রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন মেহেদী। সকালে পরিবারের লোকজন তাঁকে ডাকাডাকি করে কোনো সারা শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেয় তাঁরা।
মেহেদীর বড় ভাই মাহিনুল ইসলাম মাহিন জানান, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন মেহেদী। প্রায়সময়ই একা একাই থাকত। কারও সঙ্গে তেমন মিশত না। সকালে তাঁকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে তাঁর রুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে দেখা যায়, রুমের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে।
মেহেদীর বড় ভাই জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায়। বাবার নাম মো. মাহমুদুল ইসলাম। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিলেন মুবিন।