প্রতিনিধি, মিটফোর্ড (ঢাকা)
চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালটি রাজধানীর পুরান ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী কেরানীগঞ্জের মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ আগমন ঘটে প্রতিষ্ঠানটিতে। হাসপাতালের পকেট গেট দিয়ে প্রবেশ পথে এবং জরুরি বিভাগের পাশে গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়, মেডিকেল বর্জ্যের স্তূপ। প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে খাবারের উচ্ছিষ্ট, মেডিকেলের বর্জ্য, রক্তমাখা গজ-তুলাসহ পরিত্যক্ত কাপড়, বালিশ ইত্যাদি জিনিসপত্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেডিকেল কলেজে যাওয়া আসা, মর্গে যাতায়াতের এবং কেরানীগঞ্জ থেকে আগত মানুষের প্রধান প্রবেশ পথ এটি। আগত রোগীর স্বজনদের পাশাপাশি হাসপাতালে কর্মরত স্টাফ ও আশপাশের ফুটপাতের দোকানদারেরা জরুরি বিভাগের সঙ্গে উক্ত স্থানে সারা দিনই পরিত্যক্ত জিনিসপত্র ফেলে যাচ্ছেন। চিকিৎসা নিতে এসে প্রবেশপথেই নাকে টিপে ধরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষজনকে। তীব্র দুর্গন্ধে বমি হওয়ার উপক্রম। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও হাসপাতালে আগত রোগীদের মধ্যে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র নবাব শেখ বলেন, হাসপাতালের প্রবেশ পথ এবং মেডিকেল কলেজের সম্মুখে এই ময়লার স্তূপ এমন বেহাল অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে একটু অবসর সময় পার করব, চা নাশতা করব সেই সুযোগ নেই।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে উপপরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ আলী বলেন, ময়লা সংরক্ষণের জন্য আমাদের যে জায়গাটা ছিল তা খুব পুরোনো অকার্যকর ছিল। তাই
আমাদের হাসপাতালের আগের গার্ভেজ স্যুট টা ভেঙে ফেলা হয়েছে। নতুন অর্থবছরে আমরা নতুন করে গার্ভজ স্যুট তৈরি করার প্রস্তাব করেছি, সেই প্রস্তাবনা অনুযায়ী পি ডব্লিউ ডি কাজটি বাস্তবায়ন করছে। কাজটি চলমান, আমরা তাড়া দিচ্ছি দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য। এখন যে ময়লার ভাগাড় রয়েছে সম্পূর্ণ ক্ষণস্থায়ী।