নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী লামিয়া আক্তার, ছেলে আব্দুল্লাহ হাবিব ও স্ত্রীর বড় বোন স্বপ্না আক্তারকে হত্যার ঘটনায় লামিয়ার স্বামী ইয়াসিনসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে নিহতের বোন মুনমুন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন নিহত লামিয়ার স্বামী ইয়াসিন (২৪), শ্বশুর দুলাল (৫০) এবং লামিয়ার ননদ শিমু (২৭)। এই ঘটনায় পুলিশ ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও পলাতক রয়েছেন বাকি দুজন।
আজ শনিবার ইয়াসিনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে পারিবারিক কলহের কথা জানিয়েছে ইয়াসিন। মামলার এজাহারেও উঠে এসেছে পারিবারিক কলহের বিষয়টি।
এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পাঁচ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে লামিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর লামিয়াকে তাঁর শ্বশুর ও ননদ মারধর করতেন। আর ইয়াসিন বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত ছিলেন। সংসারে আব্দুল্লাহ জন্ম নিলেও স্ত্রী-সন্তানকে কোনো ভরণপোষণ দিতেন না তিনি। বাধ্য হয়ে লামিয়া একটি গার্মেন্টসে হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। অন্যদিকে ইয়াসিন বিভিন্ন সময় লামিয়ার কাছে গিয়ে মাদকের টাকা চাইতেন এবং টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দিতেন।
জানা গেছে, গতকাল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর খণ্ডিত বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যাক্তিরা হলেন মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা সামাদের মেয়ে স্বপ্না আক্তার (৩৫), তাঁর ছোট বোন লামিয়া আক্তার (২২) এবং লামিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ হাবিব (৩)। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।