
নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে স্টিল মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। তাঁর নাম জুয়েল (২৫)। এ নিয়ে এই ঘটনায় মারা গেলেন ৬ জন। আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন ইব্রাহিম নামে আরও একজন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, জুয়েলের শরীরে ৯৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
মৃত জুয়েলের ফুফাতো ভাই মো. সুমন জানান, জুয়েলের বাবার নাম লাবু মিয়া। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শাকরিয়াল গ্রামে। দুই ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি। বর্তমানে রুপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় থাকতেন। এক বছর যাবত ওই স্টিল মিলে কাজ করে আসছিলেন। বিস্ফোরণে তার সমস্ত শরীর পুড়ে গিয়েছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে রুপগঞ্জ উপজেলার গাউছিয়া সাউঘাট এলাকার ‘আরআইসিএল স্টিল মিলে’ লোহা গলানোর ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে গলিতো তরল লোহা শ্রমিকদের উপর ছিটকে পড়লে গুরুতর দগ্ধ হন ৭ জন। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান শংকর (৪০) নামে একজন। আর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মারা যান ইলিয়াস। শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নিয়ন, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আলমগীর আর রাতে মারা যান গোলাম রব্বানী রাব্বী।
বর্তমানে ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আইসিইউতে ইব্রাহিম ভর্তি আছেন। তাঁর অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কারখানাটির সুপারভাইজার শফিকুল ইসলাম জানান, তারা কারখানায় ভাট্টিতে লোহা গলানোর কাজ করছিলেন। ভাট্টির আশপাশে ১৫-১৬ জন শ্রমিক ছিলেন। হঠাৎ করেই ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়ে গলিত লোহা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তাঁরা দগ্ধ হন। উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।