নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে পোশাক শিল্পখাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। নব্বইয়ের দশকে পোশাক খাতের ৮০ শতাংশ শ্রমিক ছিলেন নারী। বর্তমানে তা ৫২ শতাংশে নেমে এসেছে। নারী শ্রমিক কমে আসার এই ধারা অব্যাহত থাকলে সামাজিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব)-আয়োজিত ‘স্ট্রেংদেনিং কভারেজ অব আরএমজি ওয়ার্কার্স’ শীর্ষক এক কর্মশালায় আলোচকেরা এ সব কথা বলেন।
কর্মশালায় পোশাকশিল্পে নারীর ক্ষমতায়নে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা এবং কিভাবে গার্মেন্টস শিল্পের নারী শ্রমিকদের জীবন-ঘনিষ্ঠ কাহিনী গণমাধ্যমে উঠে আসতে পারে—সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সি-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক এবং কর্মশালার মডারেটর সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের মতো অন্য কোনো খাতে এত বিপুল সংখ্যক নারীদের কাজের সুযোগ নেই। পুরুষেরা গার্মেন্টস কারখানা থেকে চাকরি হারালে ড্রাইভিং বা অন্য যেকোনো কারখানায় কাজ নিতে পারে। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে সে সুযোগ কম। তাই পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমে আসলে সামাজিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেটা অর্থনীতির ওপরেও প্রভাব ফেলবে।
কর্মশালায় পোশাকশিল্প নিয়ে গণমাধ্যম যেভাবে প্রতিবেদন তৈরি করছে, তাতে কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা জানান, শিরোনাম ভিত্তিক খবর তৈরি না করে, মানুষের গল্পগুলো তুলে আনতে হবে। নারী পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে বদ্ধমূল নেতিবাচক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। নারী কর্মীরাও প্রযুক্তি ও পরিচালনায় এগিয়ে আসতে সক্ষম, এই বিষয়গুলো তুলে আনা প্রয়োজন।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা অংশ নেন। নারী পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং মানসিক ও শারীরিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন তারা।
উল্লেখ্য, সি-ক্যাব গবেষণা এবং কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।