টং দোকানি নারীকে পিষে মারল নোয়া গাড়ি, চালক গ্রেপ্তার

 উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি 

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ৪৯
গ্রেপ্তার সোহেল হোসান ও সাদা এক্স নোয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর উত্তরার খালপাড়ে নিজের টং দোকানের সামনেই চায়ের কেটলি পরিষ্কার করছিলেন শেফালী বেগম (৩৭)। ঠিক সেই সময়ই একটি নোয়া গাড়ি এসে তাঁকে পিসে দিয়েছে। পরে গাড়িসহ চালক সোহেল হোসানকে (২৭) ধরে ফেলে আশপাশের জনতা।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তুরাগের খালপাড় রূপায়ণ সিটির মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দোকানি শেফালী বেগমকে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শেফালী বেগম খালপাড় এলাকায় চায়ের টং দোকান করতেন। তিনি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিন্নালিয়া রাহুতপুর গ্রামের কুদ্দুস শেখের মেয়ে। বর্তমানে তুরাগের চন্ডালভোগ এলাকায় স্বামী মামুন সরদারের সঙ্গে থাকতেন।

অপরদিকে জনতার হাতে আটক হওয়া ওই সাদা এক্স নোয়া গাড়ির চালক হলেন—বরিশালের বাকেরগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে সোহেল সোসাইন।

উপস্থিত জনতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দোকানের সামনে বসে চায়ের কেটলি পরিষ্কার করার সময় পেছন দিক থেকে এসে শেফালীর ওপর দিকে উঠিয়ে দেয় নোয়া গাড়িটি। পরে তাঁকে গাড়ির সঙ্গে প্রায় ১০ হাত দূরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। ঘটনাটি দেখে আমরা গাড়িসহ চালককে আটক করি এবং শেফালীকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। পরে পুলিশ এসে গাড়িসহ চালক সোহেলকে থানায় নিয়ে যায়।’

এ ঘটনায় নিহত শেফালীর ছোট ভাই ইউনুছ শেখ বাদী হয়ে তুরাগ থানায় আজ শনিবার এজাহার দিয়েছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাউজবিল্ডিংয়ের দিকে থেকে বেপরোয়া গতিতে এসে নোয়া গাড়িটি আমার বোনের ওপর দিয়ে উঠিয়ে দিয়ে ১০ হাত দূরে নিয়ে যায়। এতে আমার বোনের কোমর, পেট, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বোনকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার বোনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাহাত খান শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খালপাড় এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। নিহতের মরদেহ পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছে।’