নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওবায়দুল কাদের ছাড়া অন্য যাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে, তাঁরা হলেন শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম, ঢাকা-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, সড়ক পরিবহন বিভাগের সাবেক সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরী, অতিরিক্ত কর কমিশনার সাইফুল আলম, যুগ্ম কর কমিশনার কে এম শামসুজ্জামান ও সহকারী কর কমিশনার মো. আমিনুল ইসলাম।
দুদক সূত্র জানায়, বিআরটিএর একটি প্রকল্পে ১৩৭টি বাস কেনা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এই প্রকল্পে তাঁর আর্থিক দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে। আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলমের বিরুদ্ধে জালজালিয়াতির মাধ্যমে ১ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
দুদক বলছে, ব্যাংকটির গুলশান শাখার গ্রাহক রুমুন ট্রেডিং লিমিটেড, এক্সিস বিজনেজ লিমিটেড এবং প্রিন্সিপাল শাখার গ্রাহক এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজ, গ্লোয়িং কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, ভিস্তা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও স্কাইমার্ক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের অনুকূলে এসব টাকা ঋণ হিসেবে মঞ্জুর করা হয়।
ঢাকা-১৬ আসনের সাবেক এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে মিরপুরের ৭০০ একর খাসজমি দখল, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে, যা অনুসন্ধান করছে দুদক।
২০১৫ সালে পরিবেশ ও বনসচিব মো. নজিবুর রহমানকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া অতিরিক্ত কর কমিশনার সাইফুল আলম, যুগ্ম কর কমিশনার কে এম শামসুজ্জামান ও সহকারী কর কমিশনার মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছ দুদক।