বাংলাদেশে ইউরোপীয় সব দেশের দূতাবাস অথবা কনস্যুলেট স্থাপনের দাবি জানিয়েছে ইউরোপগামী ভিসা প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ নামের একটি সংগঠন।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব মেহেদী হাসান আশিক জানান, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সময় অপচয় হচ্ছে। রেমিট্যান্স হারাচ্ছে বাংলাদেশ। সে জন্য আমাদের একটাই দাবি হচ্ছে, বাংলাদেশে ইউরোপীয় দেশগুলোর দূতাবাস বা কনস্যুলেট স্থাপন করতে হবে।
মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি নাফিসা ইসলাম খান বলেন, দিল্লিতে অবস্থিত ইউরোপীয় দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের নাগরিকদের সময়মতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সঠিক নথিপত্র পাওয়ার পরও ভ্রমণের জন্য ভারত আমাদের ভিসা প্রত্যাখ্যান করছে। এ জন্য ভিসা আবেদন ও কনস্যুলার সেবা পেতে সময় লাগছে।
মানববন্ধনে সংকট সমাধানে চার দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপগামী ভিসা প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ। তাদের দাবি, বাংলাদেশে ইউরোপীয় কনস্যুলেট এবং দূতাবাস চালুর মাধ্যমে এই সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে:
১. সময় ও খরচ সাশ্রয়: বাংলাদেশে যদি সব কার্যক্রম চালু থাকে, তবে দিল্লি যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এতে করে সময় ও খরচ উভয়ই বাঁচবে, জনগণ উপকৃত হবে ইউরোপ গমনে খরচ কমবে।
২. কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধি: স্থানীয় সেবা গ্রহণের মাধ্যমে আবেদনের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও সহজ হবে, ফলে নাগরিকেরা দ্রুত ভিসা ও অন্যান্য সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
৩. সেবা প্রদানে গুণগত মান বৃদ্ধি: বাংলাদেশে সরাসরি দূতাবাস/কনস্যুলেট কার্যক্রম চালু থাকলে, আমাদের নাগরিকেরা সঠিক ও নির্ভুল তথ্য পেতে সক্ষম হবেন এবং কোনো দ্বিধা ছাড়াই সহজে পরামর্শ নিতে পারবেন।
৪. স্থানীয় কর্মসংস্থান ও যোগাযোগ উন্নয়ন: এই পদক্ষেপে স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ থাকবে এবং বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।