হোম > সারা দেশ > ঢাকা

হেরোইন চোরাচালানের দায়ে ঢাকার আদালতে আফ্রিকান নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে এসে হেরোইন চোরাচালানের দায়ে বতসোয়ানার এক নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রায়ের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাজহারুল ইসলাম। গতকাল সোমবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাজহারুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ৮ (গ) ধারায় এ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ধারা অনুযায়ী ২৫ গ্রামের বেশি পরিমাণ হেরোইন পরিবহনের দায়ে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। বতসোয়ানার ওই নাগরিকের নাম লেসেডি মোলাপিসি। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আদালত আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। 

তিনি আরও জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানাসহ তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত রায়ে বলেছেন, আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হবে। 

এ দিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অন্য আসামি বাংলাদেশের নাগরিক মো. মহিবুল ইসলাম মাসুদকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি কাতারের দোহা হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন বতসোয়ানার নাগরিক লেসেডি মোলাপিসি। সঙ্গে আনেন ৩ কেজি ১৪৫ গ্রাম হেরোইন, যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ এ মাদক নিয়ে ধরা পড়েন বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তাদের হাতে। ঘটনার পরদিন রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আলম। 

মামলায় বলা হয়—আসামি লেসেডি মোলাপিসি ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে কাতারের দোহা হয়ে ঢাকাগামী ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় লেসেডি গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমকালে তাঁর সঙ্গে থাকা ট্রলি ব্যাগ স্ক্যানিং করা হয়। এ সময় তার ব্যাগের মধ্যে পাউডার বা দানাদার পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে ব্যাগের মধ্যে ৩টি লেডিস ভ্যানিটি ব্যাগ ও একটি ফাইল ব্যাগ থেকে ৩ হাজার ১৪৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। পরে রাসায়নিক পরীক্ষাতেও আসামির নিয়ন্ত্রণ থেকে পাওয়া ৩ কেজি ১৪৫ গ্রাম হেরোইন ছিল বলে প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। 

মামলাটি তদন্ত শেষে আসামি লেসেডি মোলাপিসি ও মহিবুলকে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালের ৮ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। 

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়—আসামি লেসেডি মোলাপিসি ও মো. মহিবুল ইসলাম একে অন্যের সহযোগিতায় হেরোইনের ব্যবসা করতেন। 

 ২০২৩ সালের ২০ জুলাই মামলার অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ছয়জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

সেকশন