কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নিজের পাঁচ বছরের মেয়েকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সহযোগিতায় নির্মমভাবে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মসূয়া ব্যাপারীপাড়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব তথ্য জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
পুলিশ সুপার জানান, গত ১৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু স্বর্ণাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে তারই বাবা। তারপর গত রোববার অমানবিক নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওটি ধারণ করেন শিশুটির সৎমা রাবেয়া আক্তার। ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়—
শিশুটি আতঙ্কে, অনুনয় করে বলছে, ‘আব্বা আর কইতাম না, কইতাম না।’ এরপরও ইকবাল তাঁর শিশুকন্যাকে নির্যাতন করেই যাচ্ছেন। ভিডিওটির একপর্যায়ে দেখা যায়, ইকবাল তাঁর পা দিয়ে শিশুটির মুখে চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করছেন। এ সময় শিশুটির সৎমায়ের ছোট বোন গিয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ গ্রেপ্তারকৃতের বরাত দিয়ে জানান, ইকবালের প্রথম স্ত্রী হালিমা সৌদি আরব প্রবাসী। হালিমা তাঁকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। পরে তাঁদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাই ইকবাল প্রথম স্ত্রী হালিমার তৃতীয় সন্তান স্বর্ণাকে নির্যাতন করার পর সেই ভিডিও তাঁকে ইমোতে পাঠান। এই ভিডিওটি মূলত প্রথম স্ত্রীকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই করেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনার পরে স্থানীয়রা পুলিশকে অনেক সহযোগিতা করেছে। ওই শিশুর বাবা ইকবাল হোসেন ও সৎমা রাবেয়া আক্তারকে আসামি করে কটিয়াদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান মিঠু।