বিজ্ঞপ্তি
বিআরটিসির তেজগাঁও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট চত্বরে আজ বুধবার জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ২০২৩–২০২৪–এর আওতায় গণশুনানি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। সভাপতি ছিলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব)।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, স্টেকহোল্ডার, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীসহ অনেকে।
আলোচনা সভা সঞ্চালন করেন জিএম (প্রশাসন ও পার্সো.) মোহাম্মাদ সাইদুর রহমান (উপসচিব)। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের আগে বিআরটিসি কখনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান হতে পারেনি। মন্ত্রী ও সচিবের নির্দেশনায় বিভিন্ন নীতি–কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে বর্তমানে বিআরটিসিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হয়। ২০২৩ সালে দীর্ঘ ২৩ বছর পর বিআরটিসিতে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা দেওয়া হয়। নগর পরিবহন সেবা, মেট্রোরেল সার্ভিস, পর্যটক বাস সার্ভিস সেবা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাস সার্ভিস, স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস সেবা চালু করা হয়েছে। ঢাকা শহরে শৃঙ্খলা আনতে নগর পরিবহনের ২১ ও ২৬ নম্বর রুটে প্রচুর ঘাটতি দিয়ে বিআরটিসি বাস চলাচল করছে। কোরিয়া থেকে ৩৪০টি সিএনজি বাস এলে আরও উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে আয়োজন করার জন্য বিআরটিসির চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান। হরতাল ও অবরোধের মধ্যেও বিআরটিসির ৪০০ ট্রাকসহ অধিকাংশ বাস চলাচল করছে।
গণশুনানিতে উপস্থিত স্টেকহোল্ডার, প্রশিক্ষণার্থী, শিক্ষার্থী, সাধারণ যাত্রী, বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মী তাঁদের প্রশ্ন ও মতামত তুলে ধরেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান বলেন, বিআরটিসির সেবার মান উন্নত হয়েছে জেনে আমি খুব খুশি হয়েছি। তিনি চালক এবং হেলপারদের মার্জিত ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানান।
বিআরটিসির পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) ড. অনুপম সাহা (যুগ্মসচিব) প্রধান অতিথিসহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য গণশুনানির আয়োজন করে যে অভিযোগ ও পরামর্শ পাওয়া গেছে সেগুলো সচিব ও চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মোতাবেক সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।