রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রফিকুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হ্যাপী এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ রায়ের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন।
ঘটনার আট বছর পর এই মামলার রায় দেওয়া হলো। রায় ঘোষণার আগে আসামি রফিকুলকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
আদালত রায়ে বলেন, অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে শিশুকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার যে বর্ণনা মামলার সাক্ষ্য–প্রমাণে এসেছে সেই নির্মমতার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ড।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মাতুয়াইলের ওই শিশু ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর ভোরে বাথরুমে গিয়ে দীর্ঘ সময় পরও না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বিকেলে শিশুটির বাবাকে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে শিশুর অবস্থান জানার কথা বলে কল কেটে দেয়। বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় রফিকুলের কক্ষ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন রফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। রফিকুল শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেন। শিশুটির বাবা পরদিন যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
২০১৯ সালের ১৫ মে আদালত এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে। মামলার ১৬ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।