রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে কৃষক এনামুল হক শস্যচিত্রে নিপুণ কৌশলে ফুটিয়ে তুলেছেন মানুষের হৃৎপিণ্ডের প্রতীক বা ভালোবাসার চিহ্ন। সবুজ আর বেগুনি ধান রোপণ করে জমিতে এমন চমৎকার নকশা ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। অসাধারণ এই দৃশ্য মুগ্ধ করছে মানুষকে। শুধু আশপাশের এলাকা নয়, দূর-দূরান্ত থেকেও নারী-পুরুষ আসছেন একটি বার এই শস্যচিত্র দেখতে।
কৃষক এনামুল হক উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বেকাসাহারা গ্রামের মৃত আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
বেকাসাহারা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের পাশে এনামুলের ধানখেত। আশপাশের এলাকায় সবুজের সমারোহ। কৃষি মাঠ বোরোধানে ভরে গেছে। সড়কের পাশে একটি খেতের মাঝখানে সবুজ আর বেগুনি ধান রোপণ করে নিপুণ কৌশলে ফুটিয়ে তুলেছেন মানবদেহের হৃৎপিণ্ডের প্রতীকী চিহ্ন। শস্যচিত্রটি বহু দূর থেকেই যে কারও চোখে পড়ে।
টেংরা গ্রামের সারফুল ইসলাম বলেন, কৃষক এনামুল প্রতিবছর ভিন্ন ধরনের কিছু একটা করেন। ধানখেতে মা, বাংলাদেশের মানচিত্র—এসব ফুটিয়ে তুলেছেন আগেও। এ বছর শস্যচিত্রে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন মানুষের হৃৎপিণ্ড। অনেক মানুষ দেখতে আসছেন। ছবি তুলছেন।
গফরগাঁও উপজেলার শাহজালাল বলেন, রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। চোখে পড়ল এই চিত্র। মোটরসাইকেল থামিয়ে ছবি ওঠালাম। দেখতে খুবই চমৎকার। প্রশংসা না করে পারছি না।
সাবিনা আক্তার নামে একজন বলেন, এই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ চোখের সামনে পড়ল এটি। মোটরসাইকেল থামিয়ে স্বামীর সঙ্গে ছবি ওঠালাম। দেখতে খুবই সুন্দর। যে কারও ভালো লাগবে।
এনামুল আরও জানান, স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে বেগুনি ও ব্ল্যাক রাইস জাতের ধানবীজ সংগ্রহ করে বীজতলায় তৈরি করেন। এরপর ধানের চারা রোপণ করে এই শস্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বলেন, কৃষক এনামুল হক প্রতিবছর ভিন্ন ধরনের কিছু করেন। এ বছর তিনি ফসলের মাঠে শস্যচিত্রে মানবদেহের হৃৎপিণ্ড ফুটিয়ে তুলেছেন। দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে।