ঢামেক প্রতিবেদক
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ বাবলু মৃধা (৪৭) নামে এক রাজমিস্ত্রি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আজ মঙ্গলবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে যাত্রাবাড়ী লাকি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন বাবলু। পথচারীরা তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে মারা যান।
এসআই আরও জানান, খবর পেয়ে সিএমএইচ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহতের ভাই মো. রুবেল জানান, তাদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার খারিজা বেতাগী গ্রামে। বাবার নাম মফেজ আলী মৃধা। স্ত্রী সীমা বেগম ও দুই ছেলেকে নিয়ে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া এলাকায় ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন বাবলু।
তিনি আরও জানান, বাবলুর বড় ছেলে আবু তালেব দনিয়া কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। কোটা আন্দোলনের প্রথম থেকেই মিছিলে ছিল। ১৯ জুলাই রাতে ছেলে আবু তালবকে খুঁজতে বের হন বাবলু। তখন যাত্রাবাড়ী লাকি কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। পরে পথচারীরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে এক মাস চিকিৎসার পর তাঁকে বিজিবি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে গত ২২ আগস্ট সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।