নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহারে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। তামাক পণ্যের ওপর কর বাড়ানো ও আইনকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে এ রোগে মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিএমএ ভবনে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মার সভায় এই চিত্র তুলে ধরেন বক্তারা।
সভায় জানানো হয়, তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে কর বাড়ানোর একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে তামাকের কর কাঠামো ত্রুটিপূর্ণ এবং অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য দামে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। ফলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী এটি ব্যবহারে উৎসাহিত হচ্ছে। এ কারণে মৃত্যু ও অসুস্থতা বাড়ায় সরকারের স্বাস্থ্য ব্যয়ও বাড়ছে।
সম্প্রতি জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এর ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর আওতায় ২০২৪ সালে প্রকাশিত টোব্যাকোনমিকস সিগারেট ট্যাক্স স্কোর কার্ডেও বাংলাদেশের হতাশাজনক চিত্র উঠে এসেছে।
দাম, সহজলভ্যতা, করকাঠামো এবং খুচরা মূল্যে করের অংশ এই চারটি বিষয় বা ফ্যাক্টরের ওপর ভিত্তি করে সিগারেট ট্যাক্স স্কোর কার্ড তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৫ এর মধ্যে মাত্র ১ দশমিক ১৩, যা আগে ছিল ২ দশমিক ৩৮। ৪টি ফ্যাক্টরেই খারাপ করেছে বাংলাদেশ।
আত্মা’র সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করাসহ বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সংগঠনের কার্যক্রম এবং করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন আত্মা’র কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র হাসান শাহরিয়ার। বিশেষ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান এবং বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর সালমা ইয়াসমিন রিতা, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে)- বাংলাদেশ এর লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আত্মা’র কনভেনর মতুর্জা হায়দার লিটন, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ এবং সদস্যসচিব এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।