মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাট সরিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরকান্দিতে নেওয়া হবে। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনায় অফিসার্স ক্লাবে এক বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এই চ্যানেলে ভালো মানের ফেরি চালাতে হবে দক্ষ মাস্টার দিয়ে। তাছাড়া আবহাওয়া খারাপ থাকলে ফেরি চালানো যাবে না। তারপরেও যদি ফেরিতে দুর্ঘটনা হয়, তার জন্য কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। তখন আর সাময়িক বরখাস্ত নয় সরাসরি চাকরি চলে যাবে-এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সেতু মন্ত্রণালয় সচিব, পদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান এবং মাদারীপুর ও মুন্সিগঞ্জের ডিসি।
শুক্রবার সকালে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে চলাচল করা 'ফেরি কাকলী' পদ্মাসেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় ফেরির মাস্টার ও হুইল সুকানিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
গত দুই মাসে চার বার সেতুর পিলারে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও গত ২০ জুলাই প্রথম পদ্মাসেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল রো রো ফেরি শাহ মখদুমের। দ্বিতীয় দফায় ২৩ জুলাই রো রো ফেরি শাহজালাল ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এই মাসের ৯ তারিখ সোমবার সন্ধ্যায় রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা লাগে। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) আরারও ১০ পিলারে ফেরি কাকলী ধাক্কা দেয়।