ঢামেক প্রতিনিধি
রাজধানীর মালিবাগ ডিআইটি রোডের একটি পোশাক কারখানা থেকে শিউলী আক্তার (৩৮) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মালিবাগ ডিআইটি রোডের মিঞা গার্মেন্টসের চারতলা থেকে ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
শিউলীর ভাই আব্দুর রাজ্জাক জানান, তাঁদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার গ্রামে। শিউলী বর্তমানে স্বামী ইকবাল হোসেন ও দুই সন্তান নিয়ে খিলগাঁও বউবাজার এলাকায় থাকতেন। শিউলীর ডিআইটি রোডের মিঞা গার্মেন্টসের দ্বিতীয় তলায় একটি ট্রেইনিং সেন্টার আছে। সেখানে তাঁর তুহিন নামে একজন পার্টনার ছিল।
গত রাতে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারেন শিউলী চারতলায় গার্মেন্টসের অফিস কক্ষে ফাঁসি দিয়েছে।
রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, ‘শিউলীর চারতলায় গার্মেন্টসে যাওয়ার কথা না। পার্টনার তুহিনের সঙ্গে শিউলীর টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। তুহিন তাঁকে গার্মেন্টসের অফিসে নিয়ে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।’
এ বিষয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে খবর পেয়ে মালিবাগ ডিআইটি রোডের মিঞা গার্মেন্টসের চারতলার অফিস কক্ষ থেকে শিউলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তিনি ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন। পরে মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তুহিন নামে এক লোকের সঙ্গে পার্টনারে ব্যবসা করতেন তিনি। এবং দুজনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। স্বামীর সঙ্গে শিউলীর ভালো সম্পর্ক ছিল না। তবে শিউলীর পরিবার থেকে একটা অভিযোগ পেয়েছি। আত্মহত্যার প্রচারণায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’