নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুরান ঢাকার মিরনজিল্লার হরিজনপল্লি উচ্ছেদ চেষ্টার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৬০ জন বিশিষ্ট নাগরিক। মানুষের জীবনের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের বিষয়টি বিবেচনা করে মিরনজিল্লার হরিজন সম্প্রদায়কে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক কাঁচাবাজার করার নামে হরিজন কলোনির একাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া শুধু অমানবিক নয়, তা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না বা আবাসন থেকে বঞ্চিত হবে না, সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) পুরান ঢাকার বংশালের আগা সাদেক রোডের মিরনজিল্লার সুইপার কলোনির সংখ্যালঘু হরিজন সম্প্রদায়কে গৃহহারা করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কি প্রধানমন্ত্রীর এই অঙ্গীকার মানার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে না? তাই নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে দাবি জানাচ্ছি, কোনো অবস্থায়ই মিরনজিল্লার হরিজন সম্প্রদায়কে পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করা যাবে না। এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তাঁর হস্তক্ষেপ আশা করছি। একই সঙ্গে সরকার ও সিটি করপোরেশনকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে এই সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ, যার মূল কথাই হচ্ছে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না, আর প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীর মধ্যে রয়েছেন— মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. জেড আই খান পান্না, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল প্রমুখ।