আশুলিয়ায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নাশকতার মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ঢাকা জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুরুজ্জামান (৪৭) ও সাভার থানা যুবদলের সদস্য মো. সুজন (৩৪)। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও চার নেতা-কর্মীর তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন যুবদলের ওই দুই নেতা। এর আগে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠায় ঢাকা জেলা পুলিশ। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ মিয়া।
রিমান্ডে আসা বাকি আসামিরা হলেন ঢাকা জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম (৪৪), ঢাকা জেলা বিএনপির সদস্য মো. মুমিনুল ইসলাম (৪৫), ধামরাই পৌর ছাত্রদলের সদস্য অপূর্ব চন্দ্র দাস (২২) ও ধামরাই থানা যুবদলের সদস্য মো. রাজীব হোসেন।
এ ছাড়া আজ সকালে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
পুলিশ সুপার জানান, ভিডিওতে শহিদুল ইসলাম, সুরুজ্জামান ও অপূর্ব চন্দ্র দাসকে স্পষ্টভাবেই চিহ্নিত করা গেছে। ৫ আগস্ট তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যে ৭ আগস্ট বাকি তিনজনকে বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৯ জুলাই বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আশুলিয়ার নিরিবিলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিকাশ পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করে ও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ৩২ জনের নামসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসের চালক আনোয়ার হোসেন। সেদিন ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিল বিএনপি।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘নাশকতার সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছেন সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’