জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদকবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় আহতের পরিবার উপাচার্য বরাবর ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। সোমবার উপাচার্য কার্যালয়ে অধ্যাপক নূরুল আলমের কাছে লিখিত আবেদনপত্র জমা দেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ফরহাদ হোসেন।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) এলাকায় জাবির মদভর্তি অ্যাম্বুলেন্স একটি ব্যাটারিচালিত রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান একজন রিকশাচালক। দুর্ঘটনা কবলিত রিকশায় চারজন যাত্রী ছিলেন। তারা হলেন—আবেদনকারীর বোন কাকলি আক্তার (২৬), তাঁর স্বামী সবুজ আহমেদ (৩০), তাদের ২৬ মাসের শিশুসন্তান শোয়াইব এবং ভাতিজি জান্নাত (১৪)। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা আরও গুরুতর হলে কাকলি আক্তারকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এ স্থানান্তর করা হয়। গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গর্ভ থেকে মৃত সন্তান বের করা হয়।
ফরহাদ হোসেন দাবি করেন, ‘এরই মধ্যে আমার পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসাবাবদ প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। যা আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। আর কোনো মায়ের কোল যেন খালি না হয়, কোনো বাবা যেন তার মেয়েকে না হারায়। তাই অপরাধীদের কঠিন সাঁজা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। সেই সঙ্গে আমার পরিবারের ক্ষতিপূরণসহ চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার প্রশাসনকে বহন করার জন্য আবেদন করেছি।’
আবেদনপত্র জমাদানের সময় উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে আমরা সমাবর্তন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। এই আয়োজন শেষ হলে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: