হোম > সারা দেশ > ঢাকা

ভিকারুননিসার ছাত্রী অরিত্রীর আত্মহত্যা: মামলার রায় পঞ্চমবারের মতো পেছাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘প্রায় ছয় মাস ধরে অপেক্ষায় আছি, মেয়ে অরিত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচণার মামলার রায় শোনার জন্য। কিন্তু রায় ঘোষণা হচ্ছে না। শুধু তারিখ পরিবর্তন হচ্ছে। অপেক্ষার প্রহর যেন আর শেষ হয় না।’

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার রায়ের অপেক্ষায় থাকা অরিত্রীর বাবা মামলার বাদী আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন।

আজ সোমবার পঞ্চম বারের মত রায় ঘোষণার তারিখ পরিবর্তনের পর মুঠোফোনে অরিত্রীর বাবা বলেন, ‘বিচারক ছুটিতে থাকায় রায় হয়নি। আগেও চারটি তারিখে রায় হয়নি। এক্ষেত্রে কি করার আছে বা কি বলার আছে। বিচারক যেটা ভালো মনে করবেন তাই করবেন। শুধু অপেক্ষায় থাকতে হবে।’

অরিত্রীর বাবা আরও বলেন, তিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সাক্ষী হাজির করেছেন। এখন বিচারক রায় দেবেন। তবে বারবার তারিখ পেছানোয় নিজের পরিবারকে সন্তুষ্ট করতে পারছেন না।’

আজ সোমবার রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাহিমুল করিম আকন্দ হিমেল জানান, ‘ভারপ্রাপ্ত বিচারক আগামী ২৫ জুলাই রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন ছুটিতে আছেন। এই কারণে রায় ঘোষণা করা হয়নি।’

এই নিয়ে ৫ম বারের মতো পেছানো হয়েছে রায় ঘোষণার তারিখ। গত ২১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। পরে ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। এরপর তারিখ ধার্য করা হয় ৩ মার্চ। সেদিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ৯ এপ্রিল তারিখ ধার্য করা হয়। ওইদিন রায় ঘোষণা না করে তিন জুন তারিখ ধার্য করা হয়।

এর আগে গত বছর ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

মামলার দুই আসামি হলেন শিক্ষক নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার।

২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন।  

মামলার এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ  জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরও উল্লেখ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে তাঁকে অনেক অপমান করে। এ অপমান ও পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

সেকশন