শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর শনিরআখড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৭ জুলাই) দিনভর দফায় দফায় পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে শিক্ষার্থীরা ছাত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও সন্ধ্যার পর ফের তাঁরা জড়ো হন। এতে স্থানীয়রাও যোগ দেন। সন্ধ্যার পর থেকে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শনির আখড়া এলাকা।
এ সময় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার টোল প্লাজায় আগুন দেওয়া হয়। কাজলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিসে আগুনের ঘটনাও ঘটে। থানার বাইরে থাকা র্যাবের একটি গাড়ি এবং থানার বাইরে পার্কিং করা ডাম্পিংয়ের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজলা এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও র্যাবের সংঘর্ষ বাঁধে। বেলা সাড়ে ৫টায় শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডে শিক্ষার্থীরা রাজপথ ছেড়ে ছাত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন অলিগলিতে আশ্রয় নেয়। থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর কাজলা মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার সামনে অবরোধ শুরু হয়। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধে দনিয়া কলেজসহ আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসানকে কল করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে শনিরআখড়ায় পুলিশের গুলিতে দুই বছরের শিশু, তার বাবাসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আনা হয়।
হাসপাতালে আহত শিশু রাহিতের মা লিপি আক্তার জানান, তাঁদের বাসা শনিরআখড়া বর্ণমালা স্কুলের পাশে। পাঁচতলা একটি বাড়ির নিচতলায় থাকেন তাঁরা। সন্ধ্যায় বাসার সামনের রাস্তায় কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। শিশুটি বাসায় কান্নাকাটি করতে থাকায় বাবা কোলে নিয়ে বাসার কলাপসিবল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রাস্তার পরিস্থিতি দেখছিলেন। তখন গুলি এসে শিশুটির বাবার মুখ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। কোলে থাকা শিশু রহিতের ডান হাতে এবং বুকে গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
আরও খবর পড়ুন: