বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে আসেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আজ রোববার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আহত রোগীদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আসেন তিনি।
রোগীদের দেখে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাজুল ইসলাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো গণহত্যার যে অভিযোগ, সেই অভিযোগের স্বপক্ষে যে তথ্যপ্রমাণ আছে, এগুলোকে সংরক্ষণ করা। সবকিছু কালেক্ট করে মামলা উপযুক্ত করা। সেই কাজটা আনুষ্ঠানিকভাবে আজ শুরু করলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা তদন্ত সংস্থা আছে, এত দিন এটার ফাংশন ছিল না। আমরা যেহেতু আজকে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছি, আমরা প্রথমেই শুরু করেছি ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে। এইখানে আসলে যারা অবশিষ্ট চিকিৎসাধীন আছেন, তাঁদের কী অবস্থা! এখনো যাঁরা চিকিৎসাধীন আছেন, তাঁদের অবস্থা কতটা ভয়াবহ, প্রায় সবারই গুলি লেগেছে। ভাগ্যক্রমে তাঁরা বেঁচে গেছেন। এর মধ্যে একটি শিশু আছে। যার দুই পায়ে গুলি লেগেছে। দুটি পায়ে গোশত উঠে গেছে। একটা রাষ্ট্রের বাহিনী এ রকম ছোট বাচ্চার ওপর গুলি করতে পারে! এটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। সেই অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে। যদিও আমাদের সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ, মায়া ভরা বাংলাদেশ।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এই সরকার এবং সেই সময় যারা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা এটা করেছে। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা দেখলাম তাদের অবস্থা, তাদের বক্তব্য শুনলাম। কীভাবে ঘটনাগুলো ঘটেছে। কতটুকু ক্ষতি হয়েছে, কীভাবে গুলি লেগেছে। কারা গুলি করছে, সেই কাজটা আমরা শুরু করেছি। এটা চলতে থাকবে। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ, যারা আন্দোলনের সময় পুলিশের দ্বারা অথবা রাষ্ট্রের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। আবার যাঁরা শহীদ হয়েছেন, সবাই আমাদের তদন্ত সংস্থাকে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সহযোগিতা করবেন। বাংলাদেশে যাতে সুষ্ঠু বিচার করতে পারি।’