দেশজুড়ে চলমান লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধের কারণে টানা সাত দিন শিমুলিয়া ঘাট যাত্রীশূন্য ছিল। হঠাৎ বৃহস্পতিবার সকালে ৯টা থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আসন্ন কোরবানি ঈদের আগে লকডাউন থাকবে এমন আশঙ্কায় রাজধানী ছেড়ে ফের গ্রামের পথে ছুটছে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনটি ফেরিঘাট চালু করা হয়েছে। এর আগে কঠোর লকডাউনের শুরু থেকে প্রথম সাত দিন শিমুলিয়া ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডগুলো যানবাহন ও যাত্রীশূন্য হয়ে পড়েছিল। ফলে ঘাট এলাকায় তিনটি ফেরিঘাটের জায়গায় একটি ঘাট চালু ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই রাজধানী ঢাকা থেকে যাত্রীরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলে করে ঘাটে আসছে। ঘাটে ব্যক্তিগত ও অ্যাম্বুলেন্সসহ শতাধিক গাড়ি ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রাসেল মোশাররফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, `ঘাটে মানুষের চাপ বেশি। সকাল থেকে বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ অ্যাম্বুলেন্সে করেও ঘাটে আসছে। তবে ঘাটের প্রবেশমুখগুলোতে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে আমরা চেষ্টা করছি যাত্রীদের মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে।'
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহ–উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, ফের লকডাউনের সময় বৃদ্ধির আশঙ্কায় যাত্রীর চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে ঘাট এলাকায়। বর্তমানে ৯টি ফেরি দিয়ে ঘাট স্বাভাবিক রেখে চলছে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার।