যেসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের বই দেওয়া না হলে এনসিটিবি ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর।
এ সময় ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, কারিকুলাম বিতর্ক করা ও সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের নাম ব্যবহার করায় বিতর্কিত লেখক রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমানকে এনসিটিবির কারিকুলাম কমিটি থেকে দ্রুত অপসারণসহ ৯ দফা দাবি জানায় সংগঠনটি।
দাবিগুলো হচ্ছে—রাখাল রাহাকে এনসিটিবির সব কমিটি থেকে অপসারণ করে গণমাধ্যমে স্পষ্ট বিবৃতি দিতে হবে এবং তাঁকে হিরো বানিয়ে ভবিষ্যতে কোনোরূপ পুনর্বহাল করা যাবে না এবং তাঁর মতো বিতর্কিত কাউকে এনসিটিবির পরিমার্জন বা সংস্কার কমিটিতে যুক্ত করা যাবে না। যেহেতু মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এবং কোর্ট থেকে আদেশ জারি হয়েছে, সেহেতু শর্ত ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের জব্দ সব মালামাল, ফেসবুক আইডি এবং গ্রুপ ফেরত দিতে হবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবিলম্বে মামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনে কোন কোন বিশেষজ্ঞ কোন কোন বিষয় পরিমার্জন করেছেন, কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন তার দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। পত্রিকায় এসেছে, ৪০টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান সিঙ্গেল বিডার হওয়ার পরও তাদের কোনোরূপ কমপিটিশন না করিয়ে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ দিয়ে সরকারের বিপুল অর্থের ক্ষতি করেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
দাবির মধ্যে আরও রয়েছে—অবিলম্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করে যুগোপযোগী শিক্ষানীতি এবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও দেশীয় মূল্যবোধের আলোকে কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। ইউনেস্কোর পরামর্শ, দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করতে হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে যেসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি, তাদের বই দিতে হবে। অন্যথায় এনসিটিবি ঘেরাও করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের সভাপতি কাজী সাইফুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, জেসমিন, ডা. রিপা, তানিয়া আক্তার, কামাল হোসেনসহ প্রমুখ।