হোম > সারা দেশ > ঢাকা

কাকরাইল মসজিদ ও ইজতেমা ময়দানে সমান সুযোগসহ ৯ দাবি সাদপন্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৫০
আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ০৭
৯ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদপন্থী শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে তাবলিগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিবদমান পক্ষসমূহের মধ্যে মতপার্থক্য দূরীকরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ এবং উভয় পক্ষকে তাদের সর্বোচ্চ মুরব্বিদের নিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়াসহ ৯ দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকায় অবস্থিত অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদপন্থী শিক্ষকেরা।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক নাজিমউদ্দীন ভূইয়া।

অধ্যাপক নাজিমউদ্দীন ভূইয়া বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা-পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে মাওলানা সাদ অনুসারীরা ব্যক্তি ও সামাজিকভাবে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এমনকি তাঁদের অনেক মসজিদে স্বাভাবিক আমলও করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইজতেমা অনুষ্ঠান, কাকরাইল মসজিদে আমলের সময় বণ্টন, দুপক্ষের বিদেশি মেহমান ও সর্বোচ্চ মুরব্বিদের আগমন, পুরোনো সাথিদের পাঁচ দিনের জোড় অনুষ্ঠান এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের মার্কাজ ও বিভিন্ন মসজিদে আমলের দিন ও সময় বণ্টনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাওলানা সাদ অনুসারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ সময় জননিরাপত্তা, শান্তিশৃঙ্খলা ও দেশের গতিশীল অগ্রগতির লক্ষ্যে এ সকল বৈষম্য নিরসন প্রয়োজন।’

এমন পরিস্থিতিতে ইনসাফ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাধানের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা, সরকার ও সচেতন দেশবাসীর কাছে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন অধ্যাপক নাজিমউদ্দীন ভূইয়া।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিবদমান পক্ষসমূহের মধ্যে মতপার্থক্য দূরীকরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ; টঙ্গী ময়দানে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত; গ্রেপ্তারকৃত নিরপরাধ কারাবন্দীদের দ্রুত মুক্তি; উভয় পক্ষকে তাদের সর্বোচ্চ মুরব্বিদের নিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়া; উভয় পক্ষকে কাকরাইল মসজিদে আমলের সময় বণ্টন সমান করা; টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ উভয় পক্ষকে সমানভাবে জোড়, ইজতেমা ও অন্যান্য আমলের জন্য ভাগ করে দেওয়া; দেশের অন্যান্য মসজিদে আমলের সময় সমবণ্টন।

এ ছাড়া কোনো পক্ষ মসজিদে আমলের সময় অন্যপক্ষকে বাধা না দেয়, তা পর্যবেক্ষণ ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং পূর্বঘোষিত তারিখ (৭-৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) অনুযায়ী মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মঞ্জুরুল হক, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ মনিরুল ইসলাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. শফিউল বারী এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদূর রহমান এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ এন এম আসাদুজ্জামান ফকির।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত

‘পানি পানি করে অনেকবার চিল্লাইছিল ফেলানী, পরোয়া করেনি বিএসএফ’

পিএসসিতে নাশকতাচেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা যাত্রা, বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার