নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চোর আখ্যা দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে মারধর ও পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বন্দর থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা বাইতুল সালাত জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পল্টন (৩৫) একই এলাকার মৃত সাইদুল ইসলামের ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তাঁকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় পল্টনের বড় বোন নুরুন্নাহার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন খোকন মিয়া, নাঈম, ফয়সাল, জয়, আকিল, রিজমণি, আম্বিয়া, আরাফাত ও শিপলু। পুলিশ জড়িত থাকার সন্দেহে লিপি বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, পল্টন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। রাস্তায় মানুষের কাছ থেকে ১০–২০ টাকা চেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আজ সকালে এলাকার খোকন মিয়া ও নাঈমসহ অন্যরা পল্টনকে চোর আখ্যা দিয়ে বেঁধে মারধর করেন। একপর্যায়ে পুকুরে চুবিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।’