নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা বারবার বলছি, আগে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। তাদের পক্ষে যেসব মিডিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে ফ্যাসিবাদের পক্ষে যোগ হয়েছেন। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলম লিখবে, আমরা সে কলমগুলো ভেঙে দেব।’
‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে মিডিয়া কথা বলবে, সে মিডিয়ার বিপক্ষে আমাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান থাকবে। আমাদের তরুণ প্রজন্মের কথা যদি বুঝতে ব্যর্থ হন, আ.লীগের যে পরিণতি হয়েছে, পরবর্তীতে যাঁরাই নীতিনির্ধারণের ফোরামে আসবেন, তাঁদের পরিণতি আওয়ামী লীগের মতো হবে।’
আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ দিন জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ এবং পথসভার আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের হারানোর কিছুই নাই। আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হবে কি না, সেটার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে ৫ আগস্ট। যাঁরা পুনর্বাসনের কথা বলছেন, তাঁদের বলতে চাই, আ.লীগের রাজনীতি পুনর্বাসিত হবে কি না সেটা এটা এখন প্রাসঙ্গিক আলাপ নয়। বরং আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রত্যেকটা নেতা-কর্মীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মকে রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে। কারণ আমাদের দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির সংস্কৃতি-প্রতিহিংসার রাজনীতির সংস্কৃতি আমাদের তরুণদের আশাহত করেছে। আমরা জনকল্যাণে কাজ করতে পারি নাই। আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে উঠতে পারি নাই। আমাদের তরুণ প্রজন্ম বঞ্চিত হয়েছে।’
‘বঞ্চিতের ক্ষোভ থেকে আমরা তরুণ প্রজন্ম ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ করেছি। পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে অতীতের রাজনীতির অভিজ্ঞতা তরুণ প্রজন্মের ভয়হীন মনোভাবের সংমিশ্রণে।’
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন, যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, সহমুখপাত্র আরেফীন মুহাম্মাদ হিজবুল্লাহ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী, সাবিত আল হাসান, তামিম আহমেদ, তুহিন মাহমুদ প্রমুখ।