ঢাবি প্রতিনিধি
বাহুতে কালো ব্যাজ, মুখে রংতুলির আঁচড় লাগিয়ে শোকের আবহে প্রভাতফেরিতে অংশ নিয়েছেন হাজারো মানুষ। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে জাতীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। রাজধানীর পলাশী হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সামনে থেকে সারিবদ্ধভাবে শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষ আসছেন শহীদ মিনারে।
অভিভাবকদের পাশাপাশি শিশুরাও রয়েছে প্রভাতফেরিতে। প্রভাতফেরিতে অংশ নেওয়া শিশুদের উপস্থিতি জানান দেয় কবি আল মাহমুদের ছড়া—‘প্রভাতফেরির মিছিল যাবে, ছড়াও ফুলের বন্যা/ বিষাদগীতি গাইছে পথে তিতুমীরের কন্যা।’ এদিকে ঘোষণা মঞ্চ থেকে ভেসে আসছে আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর গান— ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।’
আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় শহীদ মিনার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে প্রভাতফেরির শোভাযাত্রা শুরু হয়। যেখানে নেতৃত্ব দেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহীদদের কবরে শ্রদ্ধা শেষে উপাচার্য বলেন, ‘যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ খুব সহজে ও সংক্ষিপ্তভাবে সবকিছু করতে চায়। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রভাতফেরির ঐতিহ্যগত কিছু পরিবর্তন হয়েছে। যেসব বিষয়ে মানুষ অনেক সময় ও শ্রম দেয়, সেসব বিষয় দীর্ঘস্থায়ী হয়। এতে একধরনের মূল্যবোধও আছে।’
প্রভাতফেরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।