নরসিংদীর বেলাবতে মুক্তার হোসেন নামে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাবেক ছাত্রীকে বাসায় ডেকে শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে ভুক্তভোগীর একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিযুক্তের নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় আধা ঘন্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
খবর পেয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা-বেলাব সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ ও বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা জান্নাত তাহেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ঘটনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ সরিয়ে নেয় শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত মুক্তার হোসেন (৫৫) উপজেলার খামারের চর এ. এন. এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি উপজেলার হারিসাংগান এলাকার বাসিন্দা এবং কলেজ পড়ুয়া এক সন্তানের বাবা তিনি।
গতকাল সোমবার রাতে প্রধান শিক্ষকের এসব অশোভন ঘটনা মোবাইল মেসেঞ্জারে অন্যদের জানানোর স্ক্রিনশটসহ অডিও রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। বিক্ষুব্ধরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় নিয়ে সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জেরে আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলমান। এটাকে পুঁজি করে একটি চক্র ব্যক্তিগত অডিও রেকর্ডের ঘটনাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বড় করে তুলছে।’
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা-বেলাব সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর তা ভাইরাল হলে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা জান্নাত তাহেরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলমান এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ সরিয়ে নেয়। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।