কিশোরগঞ্জে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনসহ ১৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার ভৈরব থানায় আলম সরকার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি পৌরসভার কমলপুর এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় বিএনপির কর্মী।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনকে প্রধান আসামি করে মামলাটি করেন কমলপুর এলাকার এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্য আসামিরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোল্লা সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত উল্লাহ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান কবির, যুগ্ম সম্পাদক খলিলুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, যুবলীগ নেতা ইমন, অরুণ আল-আজাদ, আরমান উল্লাহ, আল-আমিন সৈকত, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল হেকিম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক জামাল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব রায়হান, আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা সুলাইমান, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিউল আলম মঈন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক মোশারফ হোসেন মুছা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমির হামজা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ভৈরবে সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের নির্দেশে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দা, ছুরি, পাইপগান, শটগান ইত্যাদি নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের ডাকবাংলো ভাঙচুর করেন।
যেটি বিএনপির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এতে অফিসের পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিসহ আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র লুটপাট করেন আসামিরা। ওই ঘটনায় কয়েকজন বিএনপি নেতা–কর্মী বাধা দিতে গেলে তাঁরাও আহত হন।