ঢাবি প্রতিনিধি
‘ডিএসএ বাতিল করো, নববর্ষে পরাধীনতার শিকল ভাঙো’, ‘মুখ বন্ধ করে দেওয়া কি স্বাধীনতা, চাল জোটে না—ইলিশ রুই কই পাবো?’ লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা আয়োজক কমিটির বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁদের প্ল্যাকার্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার মঙ্গল শোভাযাত্রা চলাকালে চারুকলা অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা দাবি করেছেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা উদ্যাপন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ওম প্রকাশের নেতৃত্বে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। তাঁদের নেতা-কর্মীদের ধাক্কা দেওয়া হয়। পাশাপাশি এক নারী কর্মীর গায়েও হাত দেওয়া হয় এবং দুটি প্ল্যাকার্ড ভেঙে ফেলা হয়।
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের অন্যতম সংগঠক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে সারা দেশে নানা বিতর্ক আছে, তারপরও আমরা মনে করি—মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি জাতীয় উৎসব। কিন্তু এই জাতীয় উৎসবের সর্বজনীনতা হারিয়েছে। আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রা বয়কট করিনি। আমরা আমাদের দাবিগুলো মঙ্গল শোভাযাত্রায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কথা ছিল, এসব করা যাবে না। আমরা আমাদের মতো করে মঙ্গল শোভাযাত্রায় মোটিফগুলো নিয়ে গেছি। চারুকলা ছাত্রলীগের নেতা ওম প্রকাশের নেতৃত্বে লোকজন এসে আমাদের প্ল্যাকার্ডগুলো ভেঙে দিয়েছে, ধাক্কা দিয়েছে এবং আমাদের এক নারী কর্মীর গায়েও হাত দিয়েছে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়নি। তাঁদের বলা হয়েছে, প্রক্টর অফিস থেকে অনুমতি নেওয়ার বিষয়। আর মঙ্গল শোভাযাত্রায় চারুকলা থেকে যেসব জিনিস তৈরি করা হয়—আমরা সেগুলো নিয়ে শোভাযাত্রা করি। অন্য কোনো বিষয় এখানে যুক্ত হতে পারে—এমন বিষয় কখনো আমাদের আলোচনায় আসেনি।’
আরও পড়ুন: