নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সব বিষয় পাস করে কিংবা মাত্র এক বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারছেন না। তাই যে বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন, সেই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হওয়ার ব্যবস্থা করার দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরুদ্ধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষার বৈষম্য বন্ধের দাবি এই শিক্ষার্থীদের।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তাঁদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম আছে, তা সাত কলেজের জন্য বহাল রাখার মাধ্যমে বৈষম্য কমাতে হবে। সেই সঙ্গে সিজিপির শর্ত ২ দশমিক ৫-এর কম হলে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার নিয়ম বাতিলের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দীর্ঘ সেশনজটের কারণে ক্যারিয়ার ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কায় অনেকে আত্মহননের পথে ঝুঁকছেন।
বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের ২০১৮-১৯ বর্ষের অর্থনীতির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুন নাহার ৮ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। এর মধ্যে সাত বিষয়ে পাস করেন। কিন্তু একটি বিষয়ে ফেল করায় চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। এক বর্ষ থেকে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে ২ দশমিক ৫, কিন্তু উন্নয়ন অর্থনীতি নামের এক বিষয়ে ফেল করায় মাত্র ০ দশমিক ০১-এর জন্য পরীক্ষায় বসতে পারেননি।
একই কলেজের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের তানজিনা আফরিন সব বিষয় পাস করেছেন। পেয়েছেন ২ দশমিক ৮৮। কিন্তু তিন বছরে সব বিষয়ে পাস থাকার পরেও সামান্য (০ দশমিক ০৪) সিজিপিএ কম থাকায় চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় বসতে পারছেন না।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রতিটি পরীক্ষার পরে রেজাল্ট দিতে ৬ থেকে ৯ মাস সময় নেওয়া হয়েছে। অথচ ১৫ দিন থেকে মাত্র এক মাস আগে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়। এই সামান্য কিছু পয়েন্টের জন্য আবারও সব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।
ইডেন মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এশা আক্তার। আট বিষয় পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনিও দাবি আদায়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর দু-একটা বিষয়ে গণহারে ফেল করায় ৷ এখন আবার এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে পরীক্ষার রুটিনও প্রকাশ করা হয়েছে ৷ আমাদের বলা হচ্ছে পরীক্ষা দিতে ৷ কিন্তু পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করার পরে আমাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষা তাহলে কবে নেবে? আমাদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা কখনো ঢাবিতে ঘটেনি। তাহলে আমাদের সঙ্গে এমন হওয়ার কারণ বুঝতে পারছি না।’