কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
‘ভোট চুরি ঠেকাতে চার পুলিশকে আহত করেছিলাম, ৭০ রাউন্ড গুলি রেখেছিলাম’ এমন বক্তব্যের ভাইরাল ভিডিওটি এডিটিং বলে দাবি করেছেন কিশোরগঞ্জ সদরের বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুজিবুর রহমান।
আজ বুধবার বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। এ সময় মো. মুজিবুর রহমান বলেন, পুলিশকে আহত করে ৭০ রাউন্ড গুলি রেখে দেওয়ার যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি এডিট করে ছড়ানো হয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট নিতে এসব বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। গত ইউপি নির্বাচনে পাটধা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশের অস্ত্র–গুলি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ মামলায় আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটের ১ নম্বর আসামি হচ্ছেন মো. মুজিবুর রহমান।
এ বিষয়ে বৌলাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংবাদ সম্মেলন তো শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। পাটধা কুড়ের পাড় বডু মার্কেটে মুজিবুর মাইকে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা শত শত মানুষ শুনেছে। বক্তব্য কি এডিট করা যায় নাকি! গত নির্বাচনে পুলিশকে আহত করে গুলি রেখে দেওয়ার কথা বলে, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে যদি ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়, তাহলে নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন না। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছিল, সেই সম্পর্কে সবাই জানে। বক্তব্য দিতে গিয়ে সত্যি কথাটা মুজিবুরের মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। এখন সংবাদ সম্মেলনের নাটক করছে।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফাওজুল কবীর খান বলেন, ‘ভিডিও বক্তব্য আমি শুনেছি। বুধবার চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমানকে নোটিশ করা হয়েছে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পরের দিন পর্যন্ত যেন আচরণবিধির লঙ্ঘন না করে নোটিশের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তাহলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যখন বৌলাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তখন আমি ছিলাম না। তবে এইটুকু জানি মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন পদত্যাগ করায় পদটি শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। ২৭ জুলাই উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।