ফিফার অনুদানের টাকায় কেনাকাটার নামে আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার সংস্থাটির উপপরিচালক ইয়াসির আরাফাত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তবে দুদক কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন সোহাগ। তিনি গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, কোনো দুর্নীতি হয়নি। কেনাকাটার নামে যে অভিযোগ উঠেছে, তাও সত্য নয়।
নাঈম সোহাগ বলেন, ‘গণমাধ্যমে লেখা হচ্ছে আর্থিক দুর্নীতি, কিন্তু বিষয়টি আর্থিক দুর্নীতি না। প্রথমত বাফুফে থেকে যে কেনাকাটা হয়েছে, সেটা বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে হয়নি। দ্বিতীয়ত, বাফুফে পণ্য বা সেবাগুলো বুঝে পেয়েছে এবং তৃতীয়ত, ফিফার নিয়মকানুন মেনে ক্রয় করা হয়েছে। অর্থাৎ ফিফা বা বাফুফে কেউই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’
বাফুফের সাবেক সম্পাদক সোহাগ জানান, এ বিষয়গুলো নিয়ে এরই মধ্যে স্পোর্টসের সর্বোচ্চ আদালত দ্য কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে আপিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমার আইনজীবীরা সেটা নিয়ে কাজ করছেন। এটা চলমান প্রক্রিয়া। আজকে দুদককে সহযোগিতার জন্য এসেছি। আমি তাদেরকে বেশ কিছু বিষয় অবহিত করেছি।’
দুদক কেন ডেকেছে এমন প্রশ্নের জবাবে সোহাগ বলেন, ‘তাদের বেশ কিছু কোয়ারি ছিল, তারা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এখানে আসা। আমার দায়িত্ব দুদককে সহায়তা করা, আমি তাদের সহায়তা করছি।’
চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল দুর্নীতির প্রমাণ পেয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য ফিফা সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ ও প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করে। তখনই বাফুফের কর্তাব্যক্তিদের দুর্নীতির বিষয়টি আবারও সামনে চলে আসে। বিভিন্ন মহল থেকে আবারও দাবি ওঠে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের।