হোম > সারা দেশ > ঢাকা

ট্রেনের এসি নষ্টের প্রতিবাদ করায় দম্পতিকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কালনী এক্সপ্রেসে সিলেট যাওয়ার পথে তাপানুকূল স্নিগ্ধা বগিতে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) নষ্টের প্রতিবাদ করায় এক দম্পতিকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

গতকাল বুধবার ওই ভুক্তভোগী দম্পতি রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, রেলপথ সচিব মো. আবদুল বাকী এবং মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীর দপ্তরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। চিঠির কপি আজকের পত্রিকার হাতে রয়েছে।

ভুক্তভোগী দম্পতি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে বিকেল ৩টার দিকে কালনী এক্সপ্রেসের ‘ঞ’ এসি বগিতে সিলেটের উদ্দেশ্যে তাঁরা রওনা দেন। ট্রেন ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে এসি চালু করা হলেও বগি ঠান্ডা হয়নি। গরমে প্রচণ্ড অস্বস্তি হওয়ায় বগির অ্যাটেনডেন্টকে কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। এ সময় রেলওয়ে অ্যাটেনডেন্ট একজনকে নিয়ে আসেন, তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এসি টেকনিশিয়ান হিসেবে। কিন্তু তিনি কোনো পরিচয়পত্র যাত্রীদের দেখাতে পারেননি। এ সময় রেলের গার্ড সজীব আসেন। এ সময় বগির যাত্রীদের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এতে সজীব ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে কালনী এক্সপ্রেস ভৈরব স্টেশনের কাছাকাছি এলে এসি মেরামত করতে সেই টেকনিশিয়ানকে ডাকা হয়। নারী যাত্রী তখন ফেসবুক লাইভে গিয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন। তখন রেলের স্টাফরা আবারও তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। 

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আজমপুর স্টেশনের কাছাকাছি এলাকায় প্রতিবাদ করা সেই নারী ওয়াশ রুমে গেলে সেই টেকনিশিয়ান বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেন। চিৎকারের শব্দ শুনে কেউ দরজা খুলে দেন। ট্রেনটি আজমপুর স্টেশনে থামলে ৩০-৪০ জন যুবক অস্ত্রসহ বগিতে উঠে আসেন। দম্পতিকে খুঁজতে থাকেন। এ সময় যাত্রীরা সেই নারী এবং তাঁর স্বামীর পরিচয় লুকিয়ে রাখেন। অন্য এক নারী যাত্রী তাদের শিশু সন্তানকে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দেন। তবে ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পরে ট্রেনের স্টাফরা অস্ত্রধারী যুবকদের ভুক্তভোগী নারী এবং তাঁর স্বামীকে দেখিয়ে দেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ সময় সেই নারী এবং তাঁর স্বামী সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তার মারফত পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কথা বলেন। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে তাঁদের পরে জানানো হয়, কালনী এক্সপ্রেসে এমন কোনো ঘটনার সত্যতা কর্তব্যরত রেলওয়ে পুলিশ তাঁদের জানায়নি। পরে কালনী এক্সপ্রেসের সেই কর্তব্যরত রেল পুলিশ ভুক্তভোগী যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। 

১৯ সেপ্টেম্বর রাতে প্রাণনাশের আশঙ্কা নিয়ে সেই দম্পতি তাঁদের সন্তান নিয়ে সিলেটে পৌঁছান। পরে ঢাকায় ফিরে তিনি রেলওয়েতে লিখিত আকারে তাঁর অভিযোগ জানান। রেলের সেই স্টাফদের শাস্তির পাশাপাশি তাপানুকূল স্নিগ্ধা বগির এসি মেরামত, টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করার দাবিও অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘রেলপথে রেলের কোনো নিরাপত্তাকর্মী যদি যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, তার দায়ও আমাদের ওপর এসে পড়ে। নারী যাত্রী এবং তাঁর স্বামী যেসব অভিযোগ করেছেন, তার কপি এখনো আমি পাইনি। পাওয়ামাত্র অভিযোগ তদন্ত করে দেখব। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

কালনী এক্সপ্রেসের তাপানুকূল স্নিগ্ধা বগির বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা) মহিউদ্দিন আরিফ বলেন, ‘আমি মাত্র কয়েক দিন হলো দায়িত্বে এসেছি। কালনী এক্সপ্রেসের বগিগুলোতে এসি নষ্ট, যাত্রীরা কষ্ট করছেন—এমন কোনো তথ্য এখনো পাইনি। নারী যাত্রী এবং তাঁর স্বামী যে লিখিত অভিযোগ করেছেন, সেটার কপি হাতে পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

সেকশন