হোম > সারা দেশ > ঢাকা

অগ্নিদগ্ধ সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই থানা পুলিশশূন্য, আতঙ্কে স্থানীয়রা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই উপজেলা এখন অরক্ষিত এক জনপদ। আজ মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন (বেলা ৩টা) লেখা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে এসব থানায় দেখা যায়নি। তবে বিকেল ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টহল গাড়ি এসে থানার অস্ত্রাগার থেকে কিছু অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এর আগে গতকাল (সোমবার) পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের পর উত্তেজিত জনতা থানা তিনটি পুড়িয়ে দেয়। এই সুযোগে বিভিন্ন এলাকায় লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। মঙ্গলবারও কিছু কিছু এলাকায় লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে  জানা গেছে।

নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার দেশ ছাড়ার খবর প্রচারিত হওয়ার পরপরই পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়। এই অবস্থায় সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই থানার পুলিশ পিছু হটে। এর পরপরই আন্দোলনকারীরা থানা তিনটি ঘেরাও করে ফেলে। বেগতিক দেখে পুলিশ গুলি ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে আশুলিয়া থানার একাধিক পুলিশ সদস্য পালাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েন। পরে তাঁদের পিটিয়ে হত্যা করে আন্দোলনকারীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আর কোনো দিন পুলিশবিহীন সাভার থানা দেখিনি। পুলিশ পালিয়ে যাওয়ার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হতে চলছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে থানায় দেখছি না। এটা নাগরিকদের জন্য খুবই ভয়ের ব্যাপার।’

স্থানীয়রা জানান, পুলিশ পালিয়ে যাওয়ার পর উত্তেজিত জনতা থানায় ঢুকে ভাঙচুর করে। এরপর থানার ভেতরে থাকা যানবাহন ও থানা ভবনসহ পুলিশ ব্যারাক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে লুটপাট।

তাঁরা আরও জানান, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর কয়েক শ তরুণ-তরুণী, নারী ও শিশু সাভার থানায় ঢুকে লুটপাট শুরু করে, যাদের সবাই অছাত্র এবং অপরিচিত।

আত্মগোপনে থাকা সাভার থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, থানার অস্ত্রাগারের প্রায় সব অস্ত্র-গুলিসহ মালখানার আলামত এবং থানা ভবন ও আবাসিক ভবনের মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

সকালে সাভার থানায় গিয়ে অস্ত্রাগারে কয়েকটি পুরোনো অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখনো থানার ভেতরে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছিল। কয়েক শ অছাত্র নবীনগর-চন্দ্রা সড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল ও আশুলিয়া থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা বাইপাইলে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে এবং কয়েকটিতে আগুন দেয়।

ভোর ৬টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুরে হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় দুর্বৃত্তরা আগুন দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় জিরাবো ফায়ার স্টেশনের ডিউটিম্যান সবুজ ইসলাম। কিন্তু আন্দোলনকারীদের বাধার কারণে পানিবাহী কোনো গাড়ি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি বলে জানান তিনি।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাভার নামাবাজার রাজধানীর পরেই বড় পাইকারি বাজার। এখানে কয়েক হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। থানায় পুলিশ সদস্য না থাকায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। যেকোনো মুহূর্তে লুটপাটের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। একই শঙ্কায় রয়েছেন আশুলিয়ার বিভিন্ন পোশাক কারখানার মালিক ও কর্মকর্তারা।

তাঁরা বলেন, গত কয়েক দিনে আন্দোলনকারীরা কয়েকটি কারখানায় আগুন দিয়েছে। কিন্তু পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। এ কারণে পুরো শিল্পাঞ্চলে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরাপত্তার জন্য মঙ্গলবার অধিকাংশ কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক কারখানা খোলার পরেও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এসব নিয়ে কথা বলার জন্য ঢাকার পুলিশ সুপারসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোন দিলেও রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

সেকশন