গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া–চর কিশোরগঞ্জ ফেরিঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ ৬ জন।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় চর কিশোরগঞ্জ ফেরিঘাটের অদূরে মেঘনায় ট্রলারটি ডুবে যায়।
মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মনির উদ্দিন বলেন, ‘জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯–এ সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পেরেছি, ট্রলারে ১১ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে পাঁচজন জীবিত উদ্ধার হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ছয়জন।’
নিখোঁজদের মধ্যে ছয়জনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন— সুমনা আক্তার (২৫) জান্নাতুল মাওয়া (৬) সাফা (৪) মারওয়া (৮) রিমাদ (২) সাব্বির হোসাইন (৪০)।
বেঁচে ফেরা যাত্রী রিয়াদ জানান, বিকেলে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার উপজেলার দৌলতপুর থেকে ১১ জন আত্মীয়–স্বজনজন মিলে মুন্সিগঞ্জ–নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় ভ্রমণের জন্য এসেছিলেন তাঁরা। ভ্রমণ শেষে সন্ধ্যায় ট্রলারযোগে গজারিয়ায় ফিরে যাচ্ছিলেন। তাঁদের ট্রলারটি মাঝনদীতে পৌঁছালে বালুবাহী একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় অন্যরা তীরে পৌঁছাতে পারলেও নিখোঁজ রয়েছে ছয়জন। তাঁদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের।
ফায়ার সার্ভিস ও নৌ–পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল না থাকায় উদ্ধারকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।
মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মনির উদ্দিন বলেন, ‘নিখোঁজদের মধ্যে চারটি শিশু ও দুজন নারী রয়েছেন। বৈরী আবহাওয়ায় নদী উত্তাল থাকায় নদীতে অভিযান চালানো যাচ্ছে না। সকাল হলে আমাদের অভিযান তৎপরতা চলবে।’