Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

পুলিশ বক্সে মা-মেয়েকে নির্যাতন: মাথায় অস্ত্র ঠেকান সাদা পোশাকধারী, অভিযোগ বাবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশ বক্সে মা-মেয়েকে নির্যাতন: মাথায় অস্ত্র ঠেকান সাদা পোশাকধারী, অভিযোগ বাবার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সড়কে গাড়ি পার্কিং নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে মা-মেয়েকে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় সাদা পোশাকধারী এক ব্যক্তি মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকান। 

গত মঙ্গলবার মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে এ ঘটনা ঘটে। তবে মেয়ের বাবার আনীত এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। 

সাদা পোশাকধারী ওই মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বলেন, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে, এখানেই শেষ করে দেব।’ তবে ওই ব্যক্তি পুলিশ কি না—তা নিশ্চিত হতে পারেননি তাঁরা। 

পুলিশ সার্জেন্টের মামলার পর মা-মেয়ে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। আগামী রোববার আদালতে তাঁদের জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। 

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শিয়া মসজিদের বিপরীতে ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাসফিয়া ইসলাম ও তার বড় বোন তানজিনা ইসলাম। তারা একটি শরীরচর্চা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। এ সময় সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন গাড়ি সড়কে পার্কিংয়ের জন্য পাঁচ হাজার টাকার একটি মামলা দেন। গাড়িচালক কামাল বাসায় গিয়ে তাসফিয়ার মা দিলারা আক্তারকে বিষয়টি জানান। 

এরপর শিয়া মসজিদে আসেন দিলারা আক্তার। তিনি মামলার কারণ জানতে চান সার্জেন্ট হাসিনার কাছে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক হয়। এই ঘটনা শরীরচর্চা কেন্দ্রের ওপর থেকে দেখে নিচে নেমে আসেন তাসফিয়া ইসলাম। তিনিও সার্জেন্টের কাছে মামলার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। 

সার্জেন্ট জানান, তাঁর কাছে ভিডিও আছে, তখন তাসফিয়া তাঁকে ভিডিও দেখাতে বলেন। এ নিয়ে তর্কের একপর্যায়ে মাকে পুলিশ বক্সের ভেতরে নিয়ে যায় সার্জেন্ট হাসিনা। এরপর মেয়েকেও চুল ধরে টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ বক্সের ভেতরে নেন সার্জেন্ট হাসিনা ও দুজন কনস্টেবল। 

তাসফিয়া ইসলামের বাবা জনতা ব্যাংকের তোপখানা রোড শাখার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মফিজুল ইসলাম। তিনি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেয়ে পুলিশ বক্সের জানালার পাশ দিয়ে সার্জেন্টের কাছে ভিডিও দেখতে চায়, তখন তাকে টেনে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভেতরে নিয়ে হাসিনা মারধর করে। 

 ‘এরপর সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক আসে। তারা পুলিশ বক্সটি ঘিরে রাখে। কাউকে মোবাইলে ভিডিও করতেও নিষেধ করে। তাঁদের একজন ভেতরে ঢুকে আমার মেয়ের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে এখানেই মেরে ফেলব। তবে ওই ব্যক্তি পুলিশ না অন্য কেউ তা আমরা মেয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি।’ 

ট্রাফিক বক্সে মা-মেয়েকে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। তার ওপর মা-মেয়ের হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। 

পুলিশ বক্সে মা-মেয়েকে মারধরের পর ওই দিন তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন সার্জেন্ট হাসিনা। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। বর্তমানে মা ও মেয়ে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আছেন। 

মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাসফিয়া ও তার মা সার্জেন্টকে মারধর করেছেন। তার আঙুল কামড়ে আহত করেছেন। সার্জেন্ট সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাও নিয়েছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মফিজুল ইসলাম দাবি করেন, বিনা দোষে মায়ের চোখের সামনে মেয়েকে নির্যাতন চলছিল। তখন স্ত্রী (দিলারা) মেয়েকে রক্ষা করতে বাধা দিচ্ছিলেন। এ নিয়ে ধস্তাধস্তি হয় বলে শুনেছেন। এতে ট্রাফিক পুলিশের ওই কর্মকর্তা আহত হতে পারেন। কিন্তু পরে আরও পুলিশ যোগ দিয়ে মা-মেয়েকে ইচ্ছেমতো মারধর করেছে, হত্যার হুমকি দিয়েছে। তারাই আবার মামলা দিয়ে কারাগারেও পাঠিয়েছে। 

মফিজুল ইসলামের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল বলেন, ‘ওই ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। ওই মামলার তদন্ত চলছে।’

চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে উপজেলা যুবদলের সভাপতিকে মারধর

খাম ছাড়া নারী দিবসের চিঠি, উপজেলা মহিলা কর্মকর্তাকে হুমকি

লাইফ সাপোর্টে ঢাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক

পুলিশের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ৫

মেট্রোরেলের মতিঝিল স্টেশনে ২৫ হাজার কানাডিয়ান ডলার হারানোর অভিযোগ

ঈদযাত্রার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

ঝুট ব্যবসা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ইপিজেডে দুই পক্ষের সংঘর্ষ-গোলাগুলি

সাবেক গভর্নর আতিউর, অর্থনীতিবিদ বারকাতসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ঢামেকে যৌথবাহিনীর অভিযান, ৩৩ ‘দালালকে’ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা