নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে প্রায় দুই কোটি লোকের বসবাস। ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে। দায়িত্ব থেকে আমাদের পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
আজ শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত কল্যাণ সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন পদবির পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই।’ কল্যাণ সভায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সবাইকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে, ভালো পুলিশ অফিসার হতে হলে ভালো মানুষ হওয়ার বিকল্প নেই। আর ভালো পুলিশ অফিসারের পক্ষেই সম্ভব মানুষকে উত্তম সেবা দেওয়া।’
কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ হচ্ছে সরকারের সবচেয়ে দৃশ্যমান সংস্থা। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল। জনগণ আমাদের শত্রু নয়, আমরা জনগণের বিরুদ্ধে যেতে চাই না। আমরা এ দেশের মানুষকে নিয়ে একত্রে মিলেমিশে কাজ করতে চাই।’
তিনি বলেন, নগরবাসীকে সর্বোচ্চ নিরাপদে রাখার জন্য টিম ডিএমপির সব সদস্য কাজ করে যাচ্ছে। ডিএমপির সব সদস্যকে আরও আন্তরিকতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবাইকে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। টিমের যিনি নেতা হবেন, তাঁর সঙ্গে ওই টিমের সব সদস্যের একটি আত্মিক সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। যেকোনো প্রয়োজনে একজন সদস্য আরেকজনের পাশে দাঁড়াবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত সব পুলিশ সদস্যের সঙ্গে পরিচিত হতে ও তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা এবং নানা বিষয়ে তাঁদের পরামর্শ শুনতে এই কল্যাণ সভার আয়োজন করা হয়। কল্যাণ সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যরা তাঁদের সুনির্দিষ্ট কিছু বক্তব্য ও পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের কাছে তুলে ধরেন।
কল্যাণ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান পিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম; যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা; উপপুলিশ কমিশনাররাসহ ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।