রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর
চাঁদের প্রতি মানুষের অসীম কৌতূহল। পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহটি নিয়ে মানুষের জিজ্ঞাসার অন্ত নেই। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান মানুষের এ কৌতূহল মেটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে বিভিন্ন ভাবে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে বেনুভিটা মানমন্দিরের আয়োজনে হয়ে গেল চন্দ্রোৎসব। জ্ঞান-পিপাসা জিজ্ঞাসা এবং বৈজ্ঞানিক খোঁজ খবর জানাতে আয়োজন করা হয়েছিল এ উৎসবের। দুদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের শেষ হলো গান–কবিতাসহ নানান আনুষ্ঠানিকতায়।
জ্যোৎস্না রাতে জলতরঙ্গ শিল্পী ইসরাত জাহান মৌয়ের ‘মিলন হবে কত দিনে’ গানের সুর আগতদের দারুণ আনন্দ দিয়েছে। শিল্পীরা পুথি পাঠ ও বাউল সংগীতে মাতিয়ে রাখেন রাতভর। পায়েস, শীতের পিঠাসহ ছিল বিভিন্ন খাবারের আয়োজন। এর আগে চন্দ্র উদয়লগ্নে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন ও চাঁদের গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল দুদিনব্যাপী এ চন্দ্রোৎসব।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বিন্দু বাড়ি গ্রামের বেনুভিটা মানমন্দির প্রসঙ্গে চন্দ্রোৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উৎসব কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শাহজাহান মৃধা বেনু।
চন্দ্রোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় আজ বুধবার সকালে। অনুষ্ঠান মালায় ছিল যন্ত্রসংগীত, পুথি পাঠ, চন্দ্র বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সংগীত, মিউজিক থেরাপি, জঙ্গল সাফারি, আগুন জলসা। বুধবার সকালে খেজুরের রস ও খেজুর গুড়ের পায়েস দিয়ে নাশতা শেষ করার মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। এ আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল তাঁবুতে বসে জোছনা উপভোগ।
আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শাহজাহান মৃধা বেনু বলেন, ‘চাঁদকে কেন্দ্র করে এমন উৎসব পৃথিবী প্রায় সব জনগোষ্ঠীতে পালিত হয় বিভিন্ন ভাবে। আমাদেরও বহুরকমের চর্চা আছে চাঁদ নিয়ে। পৃথিবীর এ উপগ্রহটি নিয়ে বহুরকমের কৌতূহল আছে পৃথিবীবাসীর।’
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১৫০ জন মানুষ অংশ নেন।